কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর উপকূলীয় ইউনিয়ন চৌফলদন্ডি স্লুইস গেইট, পোকখালী স্লুইস গেইট ও গোমাতলীতে চলছে পোনা নিধন। প্রতিনিয়ত বাগদা ও গলদাসহ বিভিন্ন মাছের রেনু পোনা শিকার চলছে এক প্রকার বিনা বাধায়। এদিকে গুরুত্বপূর্ণ মাছের পোনা সংগ্রহ করতে গিয়ে মরে যাচ্ছে অন্যান্য প্রজাতির মাছের পোনা। শিকারিরা নির্বিচারে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু শিকার করে চলছে চলতি চিংড়ী মৌসম শুরু হওয়ার সাথে সাথে নদীর তীরবর্তী প্রতিটি এলাকায়। শতাধিক চৌকিতে আড়তদারের লোক বাগদা ও গলদার পোনা শিকারিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করছে। পোনা ক্রয় করে নিয়ে যায় আড়তে। আড়তদারদের মাধ্যমে চলে যায়, চট্রগ্রাম, সাতক্ষিরা, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
মৎস্য গবেষণার এক তথ্যে জানা যায়, প্রতিটি বাগদা ও গলদা পোনা ধরতে গিয়ে অন্য প্রজাতির ২১২টি পোনা এবং ১ হাজার ১টি মাছের খাদ্যকণা ধ্বংস হয়ে যায়। প্রায় দুই যুগেরও আগে থেকে উপকূলীয় এলাকা গুলোতে গলদা ও বাগদা চিংড়ির পোনা শিকারের প্রবণতা শুরু হয়।
সূত্রে জানা যায়,চরাঞ্চলের ভূমিহীন, প্রান্তিক চাষী ও অসহায় লোকজনদের দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গলদা পোনা এবং পরিবহন খাতে লাখ লাখ টাকা লগ্নি করে। চলতি মৌসুমে বঙ্গোপসাগর পারের এসব উপজেলার ইউনিয়নে অবৈধ ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য চিংড়ী মৌসমের আগে আড়তদার ও ক্ষমতাসীন নেতাকর্মীদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক প্রতিটি আড়তদাররা প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা চাঁদা দেবে, আর থানা পুলিশ ওই নেতারা ম্যানেজ করবে। উপকূলীয় এসব ইউনিয়নে সহ¯্রাধিক আড়তদার রয়েছে। যার সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় এক দু’লাখ মানুষ। এদিকে কক্সবাজার জেলা জুড়ে নদ-নদীতে শিকারিরা নির্বিচারে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু শিকার এর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে শিকারি এবং পোনা ধরার সরঞ্জমসহ তাদের একাদিক বার শাস্তি প্রধান করা হলেও সে শাস্তির তুয়াক্কা না করে নির্বিচারে চালিয়ে যাচ্ছে বাগদা ও গলদা পোনা নিধনের মহোৎসব।
পাঠকের মতামত